নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ৩০ অক্টোবর : দীর্ঘ সাতবছর পর রায়গঞ্জের আকাশে দেখা মিললো স্লীপিং বুদ্ধ, বাঙালীদের কাছে যা কাঞ্চনজঙ্ঘা হিসাবেই সমাদৃত। যাকে একঝলক দেখতে, হাত বাড়িয়ে ছোঁয়ার ব্যাকুলতায় অন্তহীন পথ চলতে কারোর কোনো ক্লান্তি আসে না। সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা যখন নিজে থেকে এসে ধরা দেয়, তখন সাধারন মানুষের বিমুদ্ধতা ভাষায় বর্ণনা করা বেশ কঠিন।
উল্লেখ্য প্রতিবছর শ্বেতশুভ্র এই পর্বতের দেখা পেতে দার্জিলিং, সিকিমের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ছুটে যান পর্বতপ্রেমীরা। ভোর রাতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাঞ্চনজঙ্ঘার এই অনির্বচনীয় রুপ উপভোগ করতে হিল স্টেশনগুলিতে ঢল নামে পর্যটকদের। তবে এবারে নামকরা কোনো পর্যটন কেন্দ্র নয়,রায়গঞ্জের মতো প্রত্যন্ত এক শহরাঞ্চলের ঝকঝকে নীলাকাশে ভেসে উঠলো এই পর্বত। যা দেখতে শুক্রবার সকাল ও বিকেলে ফ্ল্যাট,বাড়ির ছাদে ভীড় জমিয়েছিলো ছোট থেকে বড়ো সকলেই। কাঞ্চনজঙ্ঘা নিরাশ করে নি কাউকে ই। প্রানভরে সাধারন মানুষ উপভোগ করেছেন তার রুপ। রায়গঞ্জের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ চন্দ্রনারায়ন সাহা বলেন,” সাত বছর পর রায়গঞ্জ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলেছে। মনটা ভীষন ফুরফুরে। সাধারনতঃ বর্ষার পর যখন ধুলিকনা মাটিতে নেমে আসে, যখন আকাশে মেঘ কম থাকে, তখন রৌদ্রকরোজ্জল আকাশে ভালো ভাবে পাহাড় দেখা যায়। শুক্রবার রায়গঞ্জেও একই পরিবেশ ছিলো। তাই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার স্বপ্নপূরণ হয়েছে মানুষের।