আরসিটিভি সংবাদ –ফেলো কড়ি, লেখো নাম’! অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়। এমনটাই বাস্তবে ঘটে চলেছে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন ডাক্তারের চেম্বারে। গজিয়ে উঠেছে দালাল চক্র। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ডাক্তারদের চেম্বারে একদিকে লাইনে দাঁড়িয়েও যখন নাম লেখাতে পারছেন না রোগীরা। তখন অন্যদিকে দালাল রা টাকার বিনিময়ে নাম লেখানোর জাল ছড়িয়ে দিচ্ছে। শহরজুরে দীর্ঘদিন থেকেই এই অভিযোগ সামনে আসছিল।
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিনা পারিশ্রমিকের পাঠশালা
রায়গঞ্জে শহর ছাড়িয়ে জেলা এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলা ও সংলগ্ন বিহারের একাংশ মানুষ ডাক্তার দেখাতে আসেন প্রতিনিয়ত। কাক ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে নাম লেখাতে হয়। দিনভর দাঁড়িয়ে থেকেও শুধুমাত্র দালাল চক্রের কারনে অনেকসময় ডাক্তার না দেখিয়েই ফিরে যেতে হয় বাড়িতে। বুধবার শহরের হাসপাতাল রোডে অবস্থিত এক শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের চেম্বারে এই দালাল রাজ নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ তৈরী হয় রোগীর পরিজনদের মধ্যে। এই খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ আমাদের প্রতিনিধি পৌছন ঘটনাস্থলে।
আরও পড়ুন – বিনোদন ক্ষেত্রে সাফল্য রায়গঞ্জে পৌরসভার!
সেখানে ক্যামেরার সামনে চূড়ান্ত ক্ষোভ উগরে দেন রোগীর আত্মীয়রা। তারা বলছেন, নিয়মানুযায়ী এই চেম্বারে নাম ফোনের মাধ্যমে নাম লেখানোর কথা। কিন্তু সকাল থেকেই বার বার নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করেও সম্ভব হয়নি যোগাযোগ। এরপর উপায় না পেয়ে চেম্বারে এসে চক্ষু চড়ক গাছ তাদের। তাদের অভিযোগ এখানে দালাল রা নাম লেখানোর জন্য কারো থেকে ২০০, ৩০০ কিংবা ৫০০ করে টাকা নিচ্ছে। মিরজা সেলিমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, তার বাচ্চার শরীর খারাপ। বার বার ফোন করেও নাম লেখাতে পারেননি। এরপর চেম্বারে এসে কোনো পথ না পেয়ে ২০০ টাকা দিয়ে নাম লেখান। অন্য কারও নামে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় স্লীপ। এমন ভাবেই এখানে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারন মানুষ।
আরও পড়ুন – টিউশন সেরে বাড়ি ফেরার পথে ইভটিজিংর শিকার এক ছাত্রী
ইমরান রহমান নামের এক ব্যক্তি ১০ মাসের অসুস্থ শিশুকন্যাকে নিয়ে এসেছেন কুনোর থেকে। তিনিও একই ভাবে সমস্যায় পরেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে ফোন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এখানে এসে দেখছেন নামের তালিকা ভর্তি। কি করে এটা সম্ভব। এর নেপথ্যে ওষুধের দোকানদার থেকে নাম লেখার দায়িত্বে থাকা কর্মী সকলেই জড়িত বলে দাবী তার।
আরও পড়ুন – সুপার মার্কেট বাজার সচল করার উদ্যোগ রায়গঞ্জ পৌরসভার
ঘটনার কথা শোনার পর এদিন পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। ৪ জন দালালকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু যে চিকিৎসকের চেম্বার ঘিরে বুধবার এই ঘটনা ঘটে। সেই চিকিৎসক অবশ্য ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। শুনবো তার বক্তব্য।এখন কতদিনে এই দালাল রাজ পুরোপুরি বন্ধ হয় সেদিকেই তাকিয়ে দুরদুরান্ত থেকে আসা সাধরন মানুষজন।