নিউজ ডেস্ক , রায়গঞ্জ ,২০ই মে :ফের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে দালালচক্রের বাড়বাড়ন্ত! ঘটনাকে ঘিরে তৈরী হয়েছে ব্যপক উদ্বেগ। প্রসঙ্গতঃ প্রতিবছরই গরমের মরশুমে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সংকট তৈরী হয়।
কমে যায় রক্তের পরিমান। ফলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রক্তদান শিবির করা হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে ডোনারের সহায়তাও গ্রহন করেন অনেকেই। কিন্তু এসবের মাঝেই এক শ্রেনীর দালাল সাধারণ মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাসপাতালে। ব্লাডব্যাঙ্কের আশেপাশে রক্তের চাহিদাসম্পন্ন অসহায় মানুষদের সাথে আলাপ জমিয়ে রক্তের বিনিময়ে অর্থ আদায় করছে তারা এমনটাই তথ্য উঠে আসছে সূত্র মারফত। শনিবার দুপুরে বেশ কিছু যুবক ২০০০ টাকার বিনিময়ে রক্ত বিক্রির পরিকল্পনা করে আসে হাসপাতালে। যদিও বিষয়টি আগেভাগেই টের পেয়ে তাদের ধরতে উদ্যত হয় নিরাপত্তারক্ষীরা। একজন ধরা পরলেও বাকীরা পালিয়ে যায়। ধৃতের নাম অজয় রায়। বাড়ি রায়গঞ্জের ছত্রপুরে। সে অভিযোগ স্বীকার করেছে। নেশার টাকা জোগার করতেই তারা এই পরিকল্পনা করে বলে জানায় অজয়।
পাট গাছ নষ্টের অভিযোগ উঠল বি এস এফের বিরুদ্ধে
এদিন ঘটনার পর নিরাপত্তা রক্ষীরা অজয়কে মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু সূত্রের খবর, আশ্চর্যজনক ভাবে কিছুক্ষণ বাদে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সুপার ডাঃ বিদ্যুৎ ব্যানার্জীর সাথে। অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে পুলিশের কোর্টেই বল ঠেলেছেন তিনি।যদিও এবিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রক্ত দান কর্মসূচির সাথে যুক্ত সমাজকর্মীরা। এক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা উচিত ছিল বলে জানান সমাজকর্মী কৌশিক ভট্টাচার্য্য। উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তিনি।