রায়গঞ্জ, ২৪ সেপ্টেম্বর : সোমবার রাতে রায়গঞ্জের দেবীনগরের সুকান্ত মোড়ে একটি বাইকে চেপে দুষ্কৃতিরা এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা সুজয় কৃষ্ণ মজুমদার ও তার দুই বোন দেবী সান্যাল ও রুপা অধিকারী।
টোটোতে করে তিনজনকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা দেবী সান্যালকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক সুজয় বাবু ও রুপা দেবীর। হাসপাতাল সূত্রে খবর সুজয় বাবুর শরীর থেকে গুলি বের করা সম্ভব হয় নি। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে রুপাদেবীকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কেন এই হামলার ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে সুজয়বাবু শিলিগুড়িতে রাজ্য পুলিশে কর্মরত। রুপাদেবীর বাড়ি মালদায়,অন্যদিকে দেবী সান্যাল থাকতেন রায়গঞ্জেই। সম্প্রতি অসুস্থ বাবাকে দেখতে তিন ভাইবোন দেবীনগরের বাড়িতে এসেছিলো। সূত্রের খবর সোমবার রাতে একসময়ের ভাড়াটিয়া বিএসএফ কনস্টেবল শীতল রায় দুস্কৃতীদের নিয়ে এসে ঝামেলা বিবাদ শুরু করে রূপাদেবীর সাথে। রূপা দেবী তাঁর দিদি দেবী সান্যাল ও দাদা সুজয় কৃষ্ণ মজুমদারকে ডেকে নিয়ে আসেন। আচমকাই দুষ্কৃতিরা সুজয় বাবু, রূপা দেবী এবং দেবী সান্যাল এই তিন ভাইবোনকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকেরা দেবী সান্যালকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন রূপা অধিকারী ও সুজয় কৃষ্ণ মজুমদার। মঙ্গলবার সকালেই অবস্থার অবনতি হওয়ায় রূপা দেবীকে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সোমবার রাতে ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন জেলা পুলিশের কর্তারা। শুরু হয় দুস্কৃতীদের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি অভিযান। মঙ্গলবার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ জয়শ্রী দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত কাশীবাটি এলাকার বাসিন্দা বিএসএফ কনস্টেবল শীতল রায় সহ অন্যান্যরা পলাতক। পুলিশ মূল অভিযুক্ত শীতল রায়ের কাশীবাটি এলাকার বাড়িটি সিল করে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ পিকেট বসিয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরশ বর্মা বলেন,” গুলি চালানোর প্রকৃত কারন জানা যায়নি। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।