নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ১০ নভেম্বর : শ্বশুর বাড়িতে ন্যায্য অধিকার প্রদানের দাবিতে ধর্নায় বসলো এক গৃহবধূ। ঘটনায় চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরিশ্চন্দ্রপুর ভালুকাগামী রাজ্য সড়ক এলাকায়। উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতপুরের বাসিন্দা নাসিরুদ্দিনের সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে কালিয়াচক নিবাসী সাবিনা খাতুনের।
তাদের মধ্যে বিয়েও হয়।কিন্তু বিয়ের পর হঠাৎ করে সাবিনাকে ঘরে তুলতে অস্বীকার করে শ্বশুর,শ্বাশুড়ি এবং স্বামী নাসিরুদ্দিনও। তারা ৫লক্ষ টাকা পণ দাবী করে বলে অভিযোগ।সাবিনার বাবা-মা কেউ না থাকায় প্রতিবেশীদের সহায়তায় ৫০হাজার টাকা যোগাড় করে সে। সেইমত ৫০হাজার টাকা নিয়ে গেলেও তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে মেনে নিতে অস্বীকার করে।এমনকী বাড়িতেও ঢুকতে দেয় না।উলটে সোমবার তাকে মারধোর করে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।এরপরেই মঙ্গলবার ন্যায্য অধিকারের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর ভালুকগামী রাজ্য সড়কে ধর্নায় বসে ওই গৃহবধূ। নায্য অধিকার না পেলে আত্মহত্যার হুমকী দিয়েছে সাবিনা খাতুন। এলাকাবাসী হামিদুর রহমান বলেন, ছেলে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিল।এমনকী বাবারও সম্মতি ছিল তাদের বিয়েতে।কিন্তু পণের টাকা না মেলায় তারা অনৈতিক আচরণ করছে।এক্ষেত্রে ওই গৃহবধূর সঙ্গে সুবিচারের দাবী তুলেছেন তারা।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।অবরোধের জেরে যানজটের সৃষ্টি হয় হরিশ্চন্দ্রপুর ভালুকগামী রাজ্য সড়কজুড়ে। পরে প্রশাসনের আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।যদিও এদিন শ্বশুরবাড়িতে তার স্বামী বা অন্যান্য সদস্যদের দেখা মেলেনি।