নিউজ ডেস্ক , ১১ই সেপ্টেম্বর : সন্ত্রাসের বিভীষিকাময় নাইন ইলেভেন আজ। ১৯ বছর আগে ২০০১ সালের এ দিনেই আত্মঘাতী বিমান হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অহংকার নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে দেয় জঙ্গিরা। হামলায় নিহত হয় প্রায় ৩ হাজার মানুষ। আল-কায়দা এ হামলা চালিয়েছে দাবি করে এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে অন্য আর পাঁচটা দিনের মতোই ছিল নিউইয়র্ক সিটি। কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছিল আমেরিকার প্রাণকেন্দ্রটি। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে ঘটানো সেই ভয়াবহ ঘটনা।
মুহূর্তেই পাল্টে যায় গোটা বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিত । ‘টুইন টাওয়ার’ এ আঘাত হানে সন্ত্রাসীদের দখল করা দুটি যাত্রীবাহী বিমান। মুহর্তের মধ্যে নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঢেকে গেল নিকষ কালো ধোঁয়া। সবার চোখের সামনে ভেঙে পড়ে অর্থনৈতিক গৌরবের প্রতীক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। শুধু তাই নয়, দেশের সামরিক কেন্দ্র ওয়াশিংটনের পেন্টাগন ভবনেও হামলা চালায় আরেকটি বিমান।
এ ছাড়া পেনসিলভানিয়ায় আরেকটি বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই হামলা চালাতে ১৯ জন জঙ্গি যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীবাহী চারটি বিমান হাইজ্যাক করে। তারা সবাই নিহত হয়। টুইন টাওয়ার ও তার আশপাশে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ৩৪৩ জন দমকল কর্মী ও ৬০ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ হাজার ৭৪৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের বেশির ভাগই সাধারন পুরুষ , নারী ও শিশু। পেন্টাগনে আত্মঘাতী বিমান হামলায় ১৮৪ জন নিহত হন।
এছাড়া, উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে যারা আহত, অসুস্থ এবং বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৮৩৬ জন পরে মৃত্যুবরণ করেন। এই একটি ঘটনা পাল্টে দেয় গোটা আমেরিকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চালানো হামলায় নিহত হন ২ হাজার ৯৯৫ জন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, নাইন-ইলেভেনের প্রভাব পড়েছিল সারা বিশ্বেও।
তবে নাইন-ইলেভেনের বড় বিপর্যয় থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের ওপর আবার গৌরবের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে ফ্রিডম টাওয়ার। বিশাল বাজেট হাতে নিয়ে এর নির্মাণ শুরু হয় ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল। প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয় এই ভবনটি নির্মাণে।