২০২৬ এ রাজ্যের বিধানসভা ভোট।বিধানসভা ভোটের আগে এটাই ছিল রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ।আর সেই বাজেট অধিবেশন ঘিরে তৃণমূল- বিজেপি কার্যত সম্মুখ সমরে নেমে পরলো। দিল্লী দখলের পর বিজেপির লক্ষ্য এরাজ্য।
ফলে ভোটের একবছর আগে থেকেই ধর্মীয় মেরুকরন সৃষ্টির পথে বিজেপি নেতৃত্ব।রাজ্যে বেশ কয়েকটি সরস্বতী পুজো করতে দেয় নি তৃণমূল সরকার।এই অভিযোগ তুলে সোমবার বিধানসভায় আলোচনার দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা।কিন্তু স্পীকার আলোচনায় রাজি না হওয়ায় শুরু হয় বিক্ষোভ।
ওয়াকআউট করে বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা।বিধানসভার মর্যাদাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড হন শুভেন্দু অধিকারীসহ ৪ বিজেপি বিধায়ক।মঙ্গলবার তার প্রতিবাদে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট অধিবেশনের জবাবি ভাষনের সময় বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি বিধায়করা।নিজের বক্তব্যে এদিন আরও একবার হিন্দু জাগরনের কথা উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জামিন মিললেও রেহাই নেই! কি কি শর্ত বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট?
রাজ্যে হিন্দু পুরোহিতদের ভাতা দেওয়া হয় না কিন্তু ইমাম- মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেয় তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বর্তমান সরকার হিন্দুদের বঞ্চিত করে মুসলিম তোষন চালিয়ে যাচ্ছে।এই রাজ্যে বহু জায়গায় সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয় নি।সেবিষয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তুললে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়।
এরপরই শুভেন্দু বলেন, বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল সরকার।এ ডর হামে আচ্ছা লাগা। তৃণমূল পরিবারতান্ত্রিক কোম্পানী এটা কোনও রাজনৈতিক দল নয় সেকথা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,২৬ এ এই সরকারকে উৎখাত করবে এরাজ্যে হিন্দুরা। তিনি বলেন,”আমি গর্বিত, আমি হিন্দু”।
শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা যখন বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভে সামিল তখন বিধানসভার ভেতরে জবাবি ভাষন দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপির হিন্দুত্বের জিগির তোলার বিরোধিতা করে বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন,”বিজেপি হিন্দুত্বের জিগির তুলছে।আমি নিজে ব্রাম্ভন সন্তান।আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।বাবার কাছ থেকে চন্ডীপাঠ শিখেছি।আমার বাড়িতেও শিব মন্দির আছে।কাজেই হিন্দুত্ব আমাকে শেখাবপন না।”সব মিলিয়ে ২৬ এর আগে রাজ্যের শেষ বাজেট অধিবেশন থেকেই তৃণমূল-বিজেপি বাকযুদ্ধে রাজ্যে বেজে গেল ভোটের দামামা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহন, মুখ্যমন্ত্রী পদে কে?