নিউজ ডেস্ক ,২২ ই জানুয়ারি : দেখতে আপেলের আকৃতির। গন্ধ কমলার মতো। এমনই ক্রসবিড আপেল-কমলা কুল চাষ করে তাক লাগালেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের টুঙ্গইল বিলপাড়ার কৃষক জীতেন বর্মন। বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে মূলত কাশ্মীরি আপেল কুল, নারকেল কুল চাষ করেন ভান্ডার পঞ্চায়েতের টুঙ্গইল বিলপাড়ার বাসিন্দা জীতেন। মরসুমি ফলের তালিকায় কুল অত্যন্ত জনপ্রিয়। টকমিষ্টি স্বাদের এই ফল যেমন কাঁচা খাওয়া যায়। তেমনি কুলের আচারের কথা উঠলেই সবার জিভে জ্বল আসে। শীত মরসুম গাছে ফল আসে এবং বসন্তের শুরুতে পুষ্ঠ হয়ে কুল পেকে উঠে। সরস্বতী পূজোর সঙ্গে এই কুলের সম্পর্ক কিন্তু চিরন্তন। বানিজ্যিক ভাবে এই কুল চাষে যুক্ত কালিয়াগঞ্জের জীতেন বর্মন নতুন কিছু করার চেষ্টায় এই ক্রসবিড আপেল-কমলা কুলের চারা তৈরি করেছেন। বেশ কয়েকবছরের প্রচেষ্টায় এবারে সেই ক্রসব্রিড আপেল-কমলা কুলের সঠিক ফলন পেয়েছেন জীতেন। এই আপেল-কমলা ক্রসবিড কুল চাষে সফলতার কথা তুলে ধরে জীতেনের বার্তা, যাদের স্বল্প জমি বা চাষের অযোগ্য জমি রয়েছে তারা নার্সারি থেকে চারাগাছ সংগ্রহ করে কুল চাষে যুক্ত হলে নিশ্চিত ভাবেই লাভবান হবেন। কলম পদ্ধতির কুলের চারাগাছে মাত্র একবছর বয়সে ফলন শুরু হয়। আপেল কুল, নারকেল কুলের চাহিদা বেশ ভালো এবং বাজারে কুলের দাম ভালোই মেলে। বেশ কয়েকবছর আগে প্রথাগত চাষাবাদ থেকে সরে এসে নিজের এগারো কাঠা জমিতে কুল চাষ শুরু করেছিলেন জীতেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। সাধারণ দেশি কুল, কাশ্মীরি আপেল কুল, নারকেল কুলের পাশাপাশি নিজস্ব আপেল-কমলা ক্রসবিড মিলিয়ে এবছর ১৩ কাঠা জমিতে চার প্রজাতির কুল চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই বাজারে পাইকারি ৯০ টাকা কেজি দেশি কুল বিক্রি করেছেন জীতেন। এখন দেশি কুলের পাশাপাশি কাশ্মীরি আপেল কুল, নারকেল কুল এবং আপেল-কমলা ক্রসব্রিড কুল বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়া হবে। জীতেন বর্মন জানিয়েছেন জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যা করলে একটি গাছ থেকে ২০-২৫ কেজি কুল পাওয়া যায়। আর এতে বাড়তি লাভ ভালোই হয়।
আপেল-কমলা কুল চাষ করেই স্বনির্ভর জীতেন
